Skip to main content
 

ময়মনসিংহ বিচার বিভাগের আদ্যান্ত

ময়মনসিংহ জেলায় মোগল শাসনামলে বিচার ব্যবস্থা

মোগল শাসনের সময় এই জেলার বিচারিক ক্ষমতা কাজির হাতে ছিল। যে স্থানে কাজী ছিল না, পরগণার জমিদারগণ সেই স্থানের বিচার কাজ পরিচালনা করতেন। জমিদারগণের রাজস্ব প্রদানের ত্রুটির বিচার রাজধানীতে হত। রাজস্ব প্রদানের ত্রুটি ব্যতীত অন্য কোন বিষয়ে ত্রুটি হলে জমিদারগণকে প্রায়ই কোন শাসন করা হত না। প্রজা-সাধারণ নীরবে জমিদারের অত্যাচার সহ্য করত। ইংরেজ শাসনের শুরুতেও এই নিয়ম প্রচলিত ছিল। জমিদারগণ স্বীয় রাজস্ব ঢাকার কালেক্টরীতে প্রদান করতেন। রাজস্ব প্রদানের ত্রুটি হলে কোম্পানীর লোক জমিদার বা তার আমলাদেরকে ধৃত করত। প্রজা-সাধারণের সাথে কোম্পানীর অনুমাত্র সম্পর্ক ছিল না। প্রজাদের অভিযোগের বিচার জমিদারগণই করতেন। 

১৭৮৭ সনের ১লা মে ময়মনসিংহ জেলা স্থাপিত হয়। ময়মনসিংহ জেলা স্থাপনের পর মিঃ রটন জজ, ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর হিসাবে প্রথম নিয়োগ পান। এইরূপ ক্ষমতা প্রদত্ত হলেও কালেক্টর রাজস্ব সংগ্রহ ব্যতীত অন্য কোন বিষয়ে অনুসন্ধান নিতেন না। ১৭৮৯ সনে রটন সাহেবের পরবর্তীতে ষ্টিফেন্স বেয়ার্ড  জজ, ম্যাজিস্ট্রেট, কালেক্টরেট –এর দায়িত্ব লাভ করেন। এই সময় ময়মনসিংহ জেলার আয়তন অত্যন্ত বৃহৎ ছিল। শ্রীহট্ট জেলার তরফ, ত্রিপুরা জেলার মেহের সরাইল, বরদাখাত প্রভৃতি নোয়াখালী জেলার ভেলুয়া, পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জ, আসামের তুরা প্রভৃতি বহুদূরবর্তী স্থান ময়মনসিংহ জেলাধীন ছিল।  


১৭৮৭ হতে ১৭৯১ সাল পর্যন্ত ইংরেজ এ জেলায় কেবল রাজস্ব সংক্রান্ত বন্দোবস্ত নিয়াই ব্যতিব্যস্ত ছিলেন, বিচার ও শাসননীতি প্রতিষ্ঠার কিছুই করলেন না। ইতোঃপূর্বে বিচার ও শাসন বিভাগের কাজ জমিদার, ইজারাদার এবং সিজুয়াল দ্বারাই পরিচালিত হত। সাধারণ বিচার গ্রাম্য পঞ্চায়েত দ্বারা সম্পাদিত হত। কালেক্টরের হাতে তখন ম্যাজিস্ট্রেট ও জজের ক্ষমতা থাকলেও তিনি তা পরিচালনা করতে সুযোগ পেতেন না, অবকাশও পেতেন না। গ্রাম্যলোক “কিল খেয়ে কিল চুরি করত” তথাপি বিদেশে বিপাকে মরতে আসত না।  

সেকালে সকল জমিদারের উপরেই বিচার ক্ষমতা ছিলনা; যেসকল জমিদার রীতিমত রাজস্ব প্রদান করতেন, সাধারণত তাঁদের উপরেই বিচার শাসনের ক্ষমতা থাকত। গভর্ণমেন্ট প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যতিত গোপনে ছোট বড় সকল ভূম্যধিকারীই নিজ নিজ এলাকার বিচারের ব্যবস্থা দেখতেন। তাদের বিচারের ন্যায় অন্যায় দেখবার কেউ ছিল না। যেসব স্থানে প্রজায় প্রজায় মোকাদ্দমা হত এবং মালিক ও প্রজায় বিরোধ এবং মালিকের গভীর স্বার্থ বিদ্যমান থাকত সেসব স্থানের অত্যাচার ও অবিচারের পরিমাপ করার মতোও কেও ছিল না। 

১৭৯২ সালে জেলার জন্য অতিরিক্ত তহশীল কাছারী স্থাপিত হলে জেলা কালেক্টর তহশীলকার্যের ভার তাদের উপর ন্যস্ত করে বিচার ও শাসনকার্যে মনোযোগ দেন। ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিসের শাসন ও বিচার সম্বন্ধীয় মন্তব্য প্রচারিত হলে অতিরিক্ত মালকাছারিটি উঠে যায় এবং দেওয়ানী বিভাগ পৃথক হয়ে যায়।

ময়মনসিংহ জেলায় জজ আদালত স্থাপন ও কর্মরত বিচারকগণের কর্মকাল

১৭৯৩ সনের এপ্রিল মাসে ময়মনসিংহের জজ আদালত স্থাপিত হয়। ১৭৯৩ সনের ১২ই মে তারিখের সকাউন্সেল গভর্ণর জেনারেলের জুডিসিয়াল প্রিসিডিং মতে জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াল্টেয়ার মেগুয়ার কালেক্টর বেয়ার্ডেও নিকট হতে শাসন ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা বুঝে নিয়ে এই জেলায় শাসন ও বিচার বিভাগের প্রতিষ্ঠা করেন। সে হতে ব্রিটিশ বিচার ও শাসননীতি এই জেলায় প্রবর্তিত হয়। ১৮৩৪  সনে জজের পদ পৃথক হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর এক ব্যক্তি হন। ১৮৩৪ সাল  হতে  ১৯০০ সাল  পর্যন্ত  মোট  ৫৬  জন জেলা জজ দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে  ১৯০১ সাল  থেকে  ২০২২  পর্যন্ত  মোট  ৭৮  জন  বিচারক জেলা জজ, ময়মনসিংহ হিসেবে দায়িত্ব  পালন করেছেন ও করছেন।

১৮৩৪ সালে শুধুমাত্র জজ হিসাবে প্রথম নিয়োগ প্রাপ্ত হন মি. টি.ওয়াট। তিনি ১৮৩৬ সন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৮৩৭-১৮৩৮ জি সি চীপ, ১৮৩৮ জে এম হে, ১৮৩৯-১৮৪০ আর টরেন্স, ১৮৪০-৪১ ডব্লিউ অসলো, ১৮৪২-৪৩ টি টেলর ও জে টি জি কুক, ১৮৪৪-৪৫ সনে টি টেলর ও সি টি ডেভিডসন, ১৮৪৬-৪৯ টি টেলর, ১৮৫০-৫২ আর ই কানলিফি,  ১৮৫৩ ডব্লিউ  টি ট্রটার, ১৮৫৪-৫৫আর ই কানলিফি, জে এইচ পেটন, ১৮৫৬-৫৮  ডব্লিউ  টি ট্রটার,   ১৮৫৯ সনে ডব্লিউ টেইলর, ই এস পিয়রসন, জে ডবিøউ ডেলবিম্পল, এইচ ভি বেলি এবং এফ এ বি গ্রেভার, ১৮৬০ সনে এইচ জে জেকসন, এইচ ভি বেলি, ১৮৬১ সনে  এফ এ বি গ্রেভার, সি এইচ কেম্বেল ও ই এফ লটার, ১৮৬২ সনে , সি এইচ কেম্বেল, জে ভি ডডসন, ভি এইচ স্কেলস, ১৮৬৩-৬৫ সনে জে সি ডডসন, ১৮৬৫এফ বি সি সিমসন, ১৮৬৬- ৬৭ সনে এ লেভিন, এফ বি সি সিমসন, ১৮৬৭ সনে এ লেভিন, ১৮৬৭-৬৮ সনে এইচ মাচপ্রেটৃ, ১৮৬৯ ই ডবলিউ মলনি; এইচ মাচ প্রেট, ১৮৬৯-৭০ ডবলিউ জে মনি; এ আর টমসন, ১৮৭১-৭২ ডবলিউ জে মনি; ডবলিউ করনেল; এ আর টমসন’ এইচ মাচপ্রেট, ১৮৭৩ এ এবারক্রম্বি; ১৮৭৪ ডবলিউ জে মনি; ১৮৭৫-৭৬ এ সি প্রাট; জে মনি; ১৮৭৭ জে পি গ্রাণ্ট; ই এস মসলি; ১৮৭৮ ডবলিউ জে মনি; ১৮৭৯-৮০ টি এম কারর্কুড; এ ডবলিউ কোচবেন; জি ই পার্টার;  ১৮৮১ টি ডি বাইটন; ১৮৮২-৮৩ জে ক্রফার্ড; জি জি ডে; ১৮৮৪-৮৬ জে এফ ষ্টিবেন্স; ১৮৮৬ এইচ এফ এফ মেথুস; এইচ পি পিটারসন; ১৮৮৭ আর এফ রামপিনি; জে প্রাড, ১৮৮৮ এইচ পি পিটারসন; ১৮৮৯ এফ জে জি কেম্বেল; এইচ পি পিটারসন; সি পি কেসপার্জ, ১৮৯০ জে কেলেহার; ১৮৯১ ডি ক্যামেরন, এফ এইচ হার্ডিং; ১৮৯৫ ই গিক; আর এইচ এন্ডারসন, ১৮৯৬ ডবলিই এইচ লি, আর এইচ এন্ডারসন, ১৮৯৭ এ পি পেনাল, ১৮৯৮ অম্বিকা চরন সেন, এইচ এস হেমিলটন, ১৮৯৯-১৯০০ অম্বিকা চরন সেন, ১৯০১ সি পি বিচ ক্রপট, বি বি নিকলে, ১৯০২ ডবলিউ টিউ নন, ১৯০৩ ডবলিউ এইচ লি, ১৯০৪-০৫ জে ই ওয়েবষ্টার, ১৯০৬ এ ই হারওয়ার্ড, জে এন রয়; ১৯০৭-১১ এইচ ওয়াল্মসলি, আর আর গারলিক, ১৯১২ জে ডি কারগিল; ১৯১৩ এম সি ঘোষ; ১৯১৪ জে ডি কারগিল; ১৯১৬ ডাব্লিউ এ সীটন; ১৯১৯ জে পি হাগ; ১৯২১ এফ ডাবিøউ ওয়ার্ড; ১৯২২ সি বাইটলে; ১৯২২-২৩ এইচ সি মেইটল্যান্ড; ১৯২৩-২৫ এম ইউসুফ, জে সি এইচ ম্যাকনায়ার; ১৯২৬ জে সি সেংকে; ১৯২৬-২৭ আর আর গারলিক; ১৯২৮ এ হেন্ডারসন; ১৯২৮-২৯ জে ডাবিøউ নেলসন; ১৯২৯- ৩০ এ হেন্ডারসন; ১৯৩০-৩৪ আর এফ লজ; ১৯৩৪-৩৫ এইচ জি এস বিভার; ১৯৩৫-৩৯ এস এম মাসির; ১৯৩৯-৪২ এইচ জি ওয়েট; ১৯৪২-৪৩ এস সেন; ১৯৪৪-৪৫ বি কে বাসু, ই এস সিম্পসন ১৯৪৬ এ এস রয়; ১৯৪৭-৪৮ মাহাতাব উদ্দীন আহম্মদ; ১৯৪৮-৪৯ এইচ জি এস বিভার; ১৯৪৯-৫০ ওবায়দুস সোবহান; ১৯৫০-৫২ এ এস এম সালেক; ১৯৫২-৫৪ সাহার উদ্দীন আহম্মেদ; ১৯৫৪-৫৬ আব্দুল জব্বার খান; ১৯৫৬-৫৭ এম এ রব, মাহমুদ আলী খান; ১৯৫৭-৫৯ এম ইদ্রিস; ১৯৫৯-৬১ নূর মুহাম্মদ খান; ১৯৬১-৬৪ আব্দুল হেকিম খান; ১৯৬৪-৬৬ গোলাম মাওলা; ১৯৬৬-৬৭ এ এস এম রাসেদ, মিসবাহুল ইসলাম; ১৯৬৭-৬৮ আবুল কাসেম; ১৯৬৭-৭০ মোঃ আমির আলী জোয়ারদ্দার; ১৯৭০-৭১ আজিম উদ্দীন আহম্মেদ; ১৯৭১-৭৩ আমানুল্লাহ খান; ১৯৭৩ এ এম চৌধুরী; ১৯৭৩-৭৫ এম এ খালেক; ১৯৭৫-৭৭ কে এ রউফ;  ১৯৭৭-৮০ এ আর চৌধুরী; ১৯৮০-৮২ এম এ ওয়াহাব; ১৯৮২ এম এ চৌধুরী; ১৯৮৩ আসাদুজ্জ্যাভার ১৯৮৪ মোঃ এস কে সাদেক ১৯৮৫-৮৭ এম এ করিম, মোঃ আফজালুল হক ১৯৮৮-৮৯ মোঃ সিরাজুল ইসলাম ১৯৮৯-৯১ মনিরুজ্জামান ১৯৯১-৯২ মোঃ আবু মুছা চৌধুরী; ১৯৯২-৯৩ মোঃ আব্দুস সালাম ১৯৯৩-৯৪ নজরুল ইসলাম খান ১৯৯৪-৯৫ এম এ আহাদ চৌধুরী ১৯৯৫-৯৮ মোঃ জুলফিকার আলী; ১৯৯৮-২০০১ এ কে এম ফজলুর রহমান; ২০০১-০৪ সহিদুজ্জামান; ২০০৫- ০৮ মোঃ আনিসুজ্জামান; ২০০৮ মোঃ আবু বকর সিদ্দীকি; ২০০৮-১০ সহিদুল করিম; ২০১০-১১ বিপ্লব গোস্মামী; ২০১১-২০১৫মোঃ নূরুল হুদা; ২০১৫ মোঃ রফিকুল আলম; ২০১৬-১৮ ডঃ মোহাম্মদ আমীর আলী; ২০১৮-১৯ সৈয়দ এনায়েত হোসেন; ২০১৯-২২ মোঃ হেলাল উদ্দীন দায়িত্ব পালন করেন এবং ০৪. ১০.২০২২ হতে বেগম, মমতাজ পারভীন জেলা জজের দায়িত্ব পালন করছেন।

১৮৭১ সন পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলায় ১০টি  ফৌজদারী ও ১৪টি দেওয়ানী বিচারালয় স্থাপিত হয়েছিল। ৯টি চৌকি (মুন্সেফী আদালত) যথাক্রমে- ১) ময়মনসিংহ সদর, ২) ঈশ্বরগঞ্জ, ৩) জামালপুর, ৪) শেরপুর, ৫) কিশোরগঞ্জ, ৬) বাজিতপুর, ৭) টাঙ্গাইল, ৮) পিংনা, ৯) নেত্রকোনা। 

ঐতিহ্যবাহী জেলা আইনজীবী সমিতি, ময়মনসিংহ-এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস  

জেলা আইনজীবী সমিতি, ময়মনসিংহ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮০ খ্রীঃ। ময়মনসিংহে শুরুর দিকে মোট ২৫/৩০ জন  আইনজীবীর  অধিক ছিল না। তখন আইনজীবীর  মধ্যে কেউই ইংরেজি জানতেন না, প্রায় সকলেই বাংলা ভাষায়  শিক্ষিত ছিলেন। ২/১ জন পার্শি (ফারসি) ভাষাও জানতেন। তখন গঙ্গাটিয়ার ভোলনাথ চক্রবর্তী, জগৎচন্দ্র চৌধুরী, ষষ্ঠিধর মজুমদার, গোবিন্দ্র প্রসাদ বসু, নন্দকুমার বকসি, কালীকুমার দত্ত, গঙ্গাধর ঘোষ, কালীমোহন দত্ত ও গঙ্গাদাস গুহ ময়মনসিংহের প্রধান আইনজীবী ছিলেন। বলা বাহুল্য যে তাদের মধ্যে গঙ্গাদাস গুহ ভিন্ন আর কেউই ইংরেজি জানতেন না। ইংরেজি ভাষায় অভিজ্ঞ আইনজীবী গঙ্গাদাস গুহই এখানে প্রথম, কালীশঙ্কর গুহ তার কিছুদিন পরে এখানে ওকালতী আরম্ভ করেছেন। এখানে জজের এজলাসে কারোরই বসার আসন বা বিধি ব্যবস্থা ছিল না। সকল আইনজীবীকেই দাঁড়িয়ে থাকতে হত। পূর্বে হোসেনপুরের অন্তর্গত ভুলদিয়া নিবাসী আইনজীবী কালীমোহন দত্ত জজের সাথে বহু তর্কবিতর্ক করে আইনজীবীদেরকে বসবার আসন দিয়েছিলেন। কালীমোহনবাবু  খুব আইনজ্ঞ ও সাহসী পুরুষ ছিলেন। বিক্রমপুর নিবাসী আইনজীবী কালীকুমার দত্ত দেশ বিখ্যাত ধন্য পুরুষ ছিলেন। তাহার দান শক্তি তাহাকে অমর করে রেখেছে। সর্বসাধারণে তাকে দাতা কালীকুমার বলত। এরূপ লোকহিতকর ক্ষণজন্মা পুরুষ সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায় না। সে সময়ে হাকিমদের মধ্যেও অনেকে ইংরাজি জানতেন না। পূর্বে আমাদের দেশের স্মৃতি শাস্ত্রজ্ঞ ব্রাহ্মণ পন্ডিতগণ মুনসেফ (সহকারী জজ) ও সাব-জজ (যুগ্ম জেলা জজ) পদে নিযুক্ত হতেন। তারা হিন্দুর দায়ভাগ মতে আদালতে বিচার করতেন। সাবজজকে তখন লোকে সদর আলা বা আলা সদর আমিনও বলতেন।  

প্রথম নারী জেলা ও দায়রা জজ

২০২২  থেকে ময়মনসিংহ  জেলার  ২৩৬  বছরের  ইতিহাসে এবং ১৩৫ জন পৃথক জেলা জজের মধ্যে প্রথম নারী জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বেগম মমতাজ  পারভীন,  সিনিয়র  জেলা   দায়রা জজ বর্তমানে দায়িত্বরত  আছেন।   


বিচার বিভাগ, ময়মনসিংহ- এর সোনালী অর্জন

বাংলাদেশে জেলা হিসাবে ময়মনসিংহ বিচার বিভাগ সর্বপ্রথম ২০২২ সালে প্রবর্তিত ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ অর্জন করে। 

 

পাদটীকাঃ

১. শ্রীকেদারনাথ মজুমদার প্রণীত ময়মনসিংহের ইতিহাস ও ময়মনসিংহের বিবরণ গ্রন্থ যা আনন্দধারা কতৃর্ক প্রকাশিত,তৃতীয় প্রকাশ নভেম্বর, ২০১৪

২. ময়মনসিংহের আদিপর্ব” হাবিবুর রহমান খান লোহানী, নবরাগ প্রকাশনী, প্রকাশকাল, জুন, ২০১৫

৩. শ্রীকেদারনাথ মজুমদার প্রণীত ময়মনসিংহের ইতিহাস ও ময়মনসিংহের বিবরণ গ্রন্থ যা জেলা পরিষদ ময়মনসিংহ কর্তৃক প্রকাশিত ২য় মুদ্রণ ২০১৭ ময়মনসিংহের ইতিহাস পৃষ্ঠা ১১৫ পরিশিষ্ট ক ময়মনসিংহের রাজকর্মচারীগণ।

৪. ময়মনসিংহের ইতিহাস সংগ্রহ ও গ্রন্থনাঃ কমল চৌধুরী  দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা প্রথম সংস্করণজানুয়ারী/২০০৫ পৃষ্ঠা নং—৩২।  

. Bengal District Gazetteers, Mymensingh by F.A. Sachac, Indian Civil Service, Calcutta Bengal Secretariat Book Depot 1917.

৬. জেলা ও দায়রা জজ, ময়মনসিংহের অনার বোর্ড যেখানে ১৯০১—বর্তমান সময় পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজগণের নামের তালিকা আছে।

৭. জেলা আইনজীবী সমিতির মোহর অনুযায়ী।

 

 

আদালত ভবন সমূহের স্থিরচিত্র

Description: WhatsApp Image 2023-03-29 at 1

Description: WhatsApp Image 2023-03-29 at 1

 †Rjv RR Av`vjZ feb, gqgbwmsn

Pxd RywWwmqvj g¨vwR‡÷ªU Av`vjZ feb

Description: WhatsApp Image 2023-03-29 at 1

Description: WhatsApp Image 2023-03-29 at 1

cyivZb Av`vjZ feb,

Ck¦iMÄ †PŠwK Av`vjZ

 

 

 

 

 

 

সংকলনেঃ জনাব শাহাদত হোসেন, স্পেশাল জজ (জেলা জজ), ময়মনসিংহ

সহযোগিতায়- হাবিবুল্লাহ মাহমুদ, যুগ্ম-জেলা জজ, রাজীব আহমেদ তালুকদার, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, খন্দকার তাসনুভা হক, সহকারী জজ, মোঃ তাজুল ইসলাম সোহাগ, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোঃ তানভীর আহমদ, সহকারী জজ।